একটি খুন ও হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক নিয়ে বাঙালী তিন সাহিত্যিকের বক্তব্য

স্বাভাবিকভাবেই স্বামী শ্রদ্ধানন্দ মুসলিমদের অন্যতম প্রধান শত্রুতে পরিণত হন এবং পরিণামে ১৯২৬ সালের ২৩ শে ডিসেম্বর দিল্লীতে নিজের বাড়ী অাব্দুর রশিদ নামের এক উগ্র মুসলিমের হাতে মারা যান। সে ঘটনা ও তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এবং বাঙালী তিন সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র ও প্রেমেন্দ্র মিত্রের অবস্থান নিয়ে পরের লেখায় অালোচনা করবো।


গুপ্তপ্রণয়

সায়ান তানভি যৌবন লুপ্ত আলমাসের সামনে ভিড় করা জরাগ্রস্ত বেশ্যাদের জটলা পেরিয়ে সার্কিট হাউজের দেয়াল ঘেঁষা ফুটপাতে উঠে এলাম। জনশূন্য ফুটপাত, শুধু কিছু বৃহৎ গোল বাদাম পাতা পড়ে আছে আর কয়েকটা মধ্যবয়সী কালো কুকুর। মৃদুমন্দ নরম বাতাস শরীরে কাঁপন সৃষ্টি করছে সুখদ। মাঝরাতের শব্দহীন তুলতুলে বাতাস যেন বঙ্গোপসাগরের বুকে চুপচাপ শুয়ে থাকা নির্জন কুকরি মুকরির কৌমুদীস্নাত হাওয়া, নির্লিপ্ত, শান্ত আর দূঃখ ভারাক্রান্ত অথবা মৌন।


মীর হাবীব আল-মানজুরের ৪ টি কবিতা

মীর হাবীব আল-মানজুর প্রাতিস্বিক সারল্যে ভাবছিলাম কাটবে জীবন, অথচ গরল আর মৃণালে ভরা বিকারগ্রস্ত প্রতিসর আঁধারে জারি হয়েছে মৃত্যুর সমন; সহস্র ময়াল খেলছে, যেন এ গ্রোটেস্ক মনস্তত্ত্ব।


শীর্ষেন্দুর দূরবীন

শেখ কান্তা রেজা হেমকান্ত, রঙ্গময়ী, কৃষ্ণকান্ত, ধ্রুব আর রেমি- দূরবীনে চোখ রেখেছে এই ক'টি মূল চরিত্র, বাকিগুলো দোহারের মত সঙ্গত দিয়েছে পুরো কাহিনী জুড়ে। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তাঁর "দূরবীন" উপন্যাসে তিনটি প্রজন্মকে তুলে এনেছেন এক মলাটে।


Nil Battey Sannata : মা-মেয়ে যখন ক্লাসমেট

কাউসার আলম যখন অমিতাভ বচ্চন, আমির খানের মতো সুপারস্টারররাও সিনেমাটি সাজেস্ট করে টুইট করেন, তখন নিশ্চয়ই একজন ডেব্যুট্যান্টের আকাশে ভাসার কথা। বলাবাহুল্য, লিডিং এক্ট্রেস হিশাবে সারা ভাস্করেরও প্রথম সিনেমা এটি। কিন্তু অভিনয় ছিল অসাধারণ।


ডাকঘর পাঠ

নেহাল মুহাম্মাদ দইওয়ালা, ডাক হরকরা, ফকির, ফুল কুড়োনি আর ভিক্ষুক সবাই-ই যেন আমাকে ডাকছে। আর আমিও তাদের সঙ্গ পাবার জন্যে কেমন প্রস্তুত হয়ে আছি। কিন্তু ও-ই যে পণ্ডিত হবার জ্বালায় যেতে পারছি নে।


পেইন্টিং সিরিজ ৩৬: পল গগ্যা

পিনাকী ভট্টাচার্য একদিন হঠাৎ বাক্স পেটরা গুছিয়ে তাহিতির জাহাজে উঠে বসলেন। তাহিতিতে তাহিতিবাসির অজস্র ছবি আঁকলেন। তাহিতির আলো, নিজস্ব আকার পদ্ধতি আর এনলাইটেনমেন্টের মন দিয়ে গগ্যা এক নতুন ধরণের ছবি উপহার দিলেন পৃথিবীবাসীকে। প্রচলিত ফর্মকে, রঙের ব্যবহারকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেলেন গগ্যা।


জবাব

কাউসার আলম সেটা ছিল, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় রাত। আয়নার সামনে বারবার ওই চারটি শব্দ আওড়াচ্ছিলাম! একবার ভাবলাম, পরামর্শ চেয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট দেই! আবার মনে হলো, কিছু অনুভূতি শুধু নিজের, একান্তই নিজের। পাবলিক প্লেসে শেয়ার করলে সেগুলো সস্তা হয়ে যায়!


বড়দিদি; সম্পর্কের অভেদ্যতার বয়ান

অনিন্দিতা চৌধুরী মাধবী ও সুরেন্দ্রনাথ বিপরীত স্বভাবের বিপরীত প্রান্তের দু'জন ব্যক্তি। একজন, সবার জন্য কল্পতরুরূপ, যার কাছে সবাই প্রার্থনা করে আর অভীষ্ট ফল নিয়ে তুষ্ট হয়ে ফেরে। আর অপরজন? সে তো নির্ভর করতেই শিখেছে শুধু…। ওরা দু’জন দু’প্রান্ত থেকে ঠিক কাছে এসেছে তা বলা যায়না, মাধবী সুরেন্দ্রের জন্য কোন ব্যক্তিও নয়, শুধু একটি নাম- ‘বড়দিদি’। সবাই বলে ‘বড়দিদি’, তাই সেও বলে।


ব্লক ডি, মিয়াজী রোড

আহনাফ তাহমিদ “এই যে মামা” ডাক শুনে একটু ভড়কে গেলাম। হাতের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে সময়টা দেখে নিলাম। রাত দশটা বেজে তেইশ মিনিট। এতো রাতে “মামা” ডাক শোনা নিতান্তই ভয়াবহ একটি ব্যাপার। বিশেষ করে এটা ঢাকা শহর। এখানে মামা ডাকটা মানুষভেদে ভিন্ন হয়। কেউ বাসের কনডাক্টরকে মামা ডাকে, আবার কেউ ঝালমুড়িওয়ালাকে মামা ডাকে। আবার অফিসের পিয়নকেও মামা ডাকা হয়। কেউবা আবার নিজের মামাকেও “মামা”ই বলে থাকে।


গল্প/উপন্যাস

READ MORE

গুপ্তপ্রণয়

যৌবন লুপ্ত আলমাসের সামনে ভিড় করা জরাগ্রস্ত বেশ্যাদের জটলা পেরিয়ে সার্কিট হাউজের দেয়াল ঘেঁষা ফুটপাতে উঠে এলাম। জনশূন্য ফুটপাত, শুধু কিছু বৃহৎ গোল বাদাম পাতা পড়ে আছে আর কয়েকটা মধ্যবয়সী কালো কুকুর। মৃদুমন্দ নরম বাতাস শরীরে কাঁপন সৃষ্টি করছে সুখদ। মাঝরাতের শব্দহীন তুলতুলে বাতাস যেন বঙ্গোপসাগরের বুকে চুপচাপ শুয়ে থাকা নির্জন কুকরি মুকরির কৌমুদীস্নাত হাওয়া, নির্লিপ্ত, শান্ত আর দূঃখ ভারাক্রান্ত অথবা মৌন।

কবিতা

READ MORE

মারুফ বরকতের কাব্যিপনা

ছোলাবাটার ঘন ক্বাথ জ্বাল দিয়ে যাচ্ছি লাভার মত বুদবুদ ওগড়ানো অচিন ও অদৃশ্য আগুন চামচ ধরা হাতে ফোস্কা ফেলে অবিরত মনের ভেতর ঘাই মারে বর্ষিয়ান মহাশোল চিনি দিলেই মিষ্টি হয়না দাহ্য ক্লেদ বলে ফেললেই হয়ে ওঠে না আশু সমাধান

অনুবাদ

READ MORE

অনেক দিন আগের কথা

মনে হলো কাঠের মেঝের উপরে যেন ধীর অথচ একটির পর একটি পা ফেলার তীক্ষè শব্দ! আমি শুনে যেতে লাগলাম। গভীর মনোযোগ দিয়ে কান খাড়া করে রাখলাম। আবার পা ফেলার শব্দ। থেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার নতুন করে শোনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। ভালো করে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, পায়ের শব্দটি কি এঘর ওঘর ঘুরে শেষে আমার দরজার দিকেই এগোচ্ছে?

সম্পাদক: আবু মুস্তাফিজ

৩/১৯, ব্লক-বি, হুমায়ুন রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা