বৈরিতা নয় বন্ধুত্বই হোক

স্টাফ রিপোর্টার, দুরবিন ডটকম

বৈরিতা দিয়ে নয় বরং বন্ধুত্বের মাধ্যমে প্রতিবেশীর কাছ থেকে ন্যায্য অধিকার আদায় করা সম্ভব বলে মনে করেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বিকেলে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘বাংলাদেশ – ‘ভারত সম্পর্ক : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বন্ধু নির্বাচন করা যায় কিন্তু প্রতিবেশী তো পাল্টানো যায় না। ভারত আমাদের বড় প্রতিবেশী। বড় প্রতিবেশীর সঙ্গে যে সুসম্পর্ক চায় না তাকে আর যাই বলা হোক বুদ্ধিমান বলা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সেদিকে ইঙ্গিত করে তিনি এসব কথা বলেন”।

তিনি আরও বলেন, “দেশের একটা পক্ষ কখনোই চায় না ভারতের সাথে সম্পর্ক ভাল থাকুক। তারা চায় না বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। তাই ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক থাকলে তাদের ভাল লাগে না। তারা আওয়ামী লীগ এর পররাষ্ট্রনীতিকে বলে নতজানু। অথচ আওয়ামী লিগ সরকারের আমলেই ভারতকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে গিয়ে আমাদের সমুদ্র সীমার অধিকার আদায় করলাম, তাহলে এটা কি নতজানু পররাষ্ট্র নীতি”?

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুর রশিদ বলেন, “আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক ভাল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফরে বাংলাদেশ -ভারত সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে”।

অনুষ্ঠানে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, “সামনে এগুতে গেলে ভারতের মত বড় শক্তিকে পাশে রাখতে হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকলে তিস্তা কেন, ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারব। তিনি আরও বলেন, “যে দল মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে তার দ্বারা দেশের ক্ষতি হতে পারে না”।

 বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান ডঃ এ কে এম আব্দুল মোমেন এর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য কামরুল হাসান, এফবিসিসিআই এর সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমদ, একাত্তর টিভির ইশতিয়াক রেজা, শহীদ ডাঃ আলীম চৌধুরীর কন্যা ডাঃ নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা/০৪ মে, ২০১৭/ওএইউ/দুরবিন ডটকম।


সম্পাদক: আবু মুস্তাফিজ

৩/১৯, ব্লক-বি, হুমায়ুন রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা